প্রথম গর্ভাবস্থায় থ্যালাসেমিয়া মাইনর এবং জেস্টেশানাল ডায়াবেটিস মেলিটাস (জিডিএম) নির্ণয় করার পরে সফল ফলাফল।

গর্ভাবস্থার প্রায় ১৬ সপ্তাহে প্রথমবার মা আমাদের কাছে এসেছিলেন।

শিশুর ক্রোমোসোমাল অস্বাভাবিকতার জন্য  স্ক্রীনিং- কম্বাইন্ড টেস্ট, ১১-১৩ সপ্তাহের মধ্যে করা উচিত। তবে, তা এখানে সম্পন্ন করা হয় নি। তাই আমরা ক্রোমোসোমাল  অস্বাভাবিকতার জন্য Quadruple test করার পরামর্শ দিয়েছি। এটা স্বাভাবিক আসে।

গর্ভধারণের পরিকল্পনা করার আগে থ্যালাসেমিয়া স্ক্রীনিং করা উচিত। এই ক্ষেত্রে আমরা প্রায় ১৭ সপ্তাহে এটি করেছি এবং আশ্চর্যজনকভাবে থ্যালাসেমিয়া মাইনর (কেরিয়ার) বেরিয়েছে। তাই দম্পতি চাপে ছিলেন। যাইহোক, স্বামী রক্ত পরীক্ষা স্বাভাবিক এসেছিল। তাই কোন হস্তক্ষেপ প্রয়োজন হয়নি।

ভারতীয় নারীদের জিডিএম এর ঝুঁকি বেশি। সুতরাং জিডিএম এর জন্য ৭৫ গ্রাম Oral Glucose Tolerance Test(ওজিটিটি), প্রথম বুকিং এ এবং আবার ২৪ সপ্তাহে করা উচিত। জিডিএম মা ও শিশুর জন্য উচ্চ ঝুঁকি বহন করে। এই ক্ষেত্রে আমরা শুধুমাত্র প্রায় ২৪ সপ্তাহে পরীক্ষা করতে পেরেছি। তাতে জিডিএম নির্ণয় করা হয়েছে। সুগার নিয়ন্ত্রণের জন্য ডায়েটিং ও মৌখিক ঔষধ যথেষ্ট ছিল।

অবশেষে ডেলিভারি সম্পন্ন করা হয়েছে এবং মা এবং শিশু উভয়ই  ভাল আছেন।

সুতরাং, সাম্প্রতিক নির্দেশাবলী অনুযায়ী প্রতিটি গর্ভাবস্থায় সঠিক স্ক্রীনিং প্রয়োজন

রোগীর থেকে অনুমতি নিয়ে প্রকাশিত